চীনে নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমরা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্য চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মিছিল করেছে। ১২ নভেম্বার ছিল উইঘুরদের ৭৪ ও ৮৫তম স্বাধীনতা দিবস।
১৯৩৩ ও ১৯৪৪ সালে স্বল্প সময়ের জন্য পূর্ব তুর্কিস্তান নামে স্বাধীন দেশ পেয়েছিল উইঘুররা। পরে তা চীনের অংশ হয়ে যায়। জাতিসংঘের দাবি অনুসারে-চীনের বন্দিশালায় বর্তমানে নারীসহ ১০ লাখ উইঘুর মুসলমান আটক আছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের সামনে যুক্তরাষ্ট্র ও পূর্ব তুর্কিস্তানের পতাকা হাতে বিশাল মিছিল বের করেন উইঘুররা। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত বিশ্ব উইঘুর কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রেবিয়া কাদির ওই মিছিলে নেতৃত্ব দেন। এ কর্মসূচির আয়োজন করে ইস্ট তুর্কিস্তান ন্যাশনাল অ্যাওকেনিং মুভমেন্ট। মিছিল শেষে তারা এক সমাবেশে মিলিত হন।
সেখানে বক্তারা উইঘুর মুসলিমদের গণগ্রেফতার ও নির্যাতন বন্ধে এবং স্বধীনতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্য কামনা করেন। এর আগে উইঘুরের ১১ মুসলিমকে মুক্তি দিয়েছে মালয়েশিয়া।
২০১৪ সালে থাইল্যান্ডে গ্রেফতার হয় উইঘুরের ২শ মুসলিম। তাদের মধ্যে ১শরও বেশি জনকে ২০১৫ সালের জুলাইতে জোর করে চীনে পাঠিয়ে দিলে বিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে। তবে থাইল্যান্ডের কারাগারের দেয়ালে গর্ত করে কম্বলকে মই বানিয়ে পালিয়ে তাদের মধ্যে উইঘুরের ১১ মুসলিম সীমান্ত অতিক্রম করে মালয়েশিয়া পৌঁছায়।
চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা মালয়েশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের প্রশাসন তাদের গ্রেফতার করে।
জাতিসংঘ বলছে, জিনজিয়াংয়ের প্রায় ১০ লাখ মুসলিমকে তথাকথিত ‘পুনশিক্ষা কেন্দ্রে’ আটক রাখা হয়েছে। উইঘুররা দাবি করছেন, তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আদিবাসী পরিচয় মুছে চীনা হিসেবে পরিচিত করানোর লক্ষ্যেই এ সব ‘পুনশিক্ষা কেন্দ্র’ বানানো হয়েছে। আল-জাজিরা।